ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। সোমবার র্যাব-১৫ হেফাজত থেকে তাকে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। তিনি জানান, দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে প্রদীকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ প্রদীপসহ ৩ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আবারও আদালতে হাজিরা হয়েছে। তাকে আবারও রিমান্ডে চাওয়া হতে পারে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে প্রথম দফায় সাতদিন ও দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় সিনহা হত্যার অভিযুক্ত আসামিদের। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সিনহা হত্যা মামলার মোট ১৩ আসামি রয়েছেন। তারা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
রিমান্ড শেষে এপিবিএনের তিন সদস্য কয়েক দিন আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা তিনজন জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। ঘটনার সময় এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। তাদের মধ্যে নন্দদুলাল সোমবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন। এর আগে রোববার জবানবন্দি দেন লিয়াকত।